রাজধানীতে কয়েক ঘণ্টার জন্য সিম নিবন্ধনে সমস্যা প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সার্ভারে ডাউন না। সমস্যা মোবাইল অপারেটরদের কি না তা দেখতে হবে। আমি কথা বলেছি, এনআইডি সার্ভার ডাউন না। আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভা কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৮ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন হয়ে গেছে। সার্ভার কিন্তু এনআইডির একটা এবং প্রত্যেকটি অপারেটরের নিজস্ব একটা আছে, যার মাধ্যমে অপারেটররা পাঠায় এবং এনআইডি থেকে ভেরিফিকেশন হয়। এনআইডি সার্ভার ডাউন না- এটা আমাকে ওনারা (এনআইডি) কনফার্ম করেছে। আমি বারবার অপারেটরদের ফোন করছি, কিন্তু তারা ধরছেন না। আমি এখনই যাচ্ছি সরেজমিনে গিয়ে দেখব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে সিম আনতে যাচ্ছি, তাতে কিছু সিম ঝরে পড়বেই। সিমগুলো ঝরে পড়বে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বা অবৈধ ভিওআইপি কাজের জন্য ব্যবহার করে বা জঙ্গি অর্থায়নে ব্যবহার করে এই সিমগুলো ঝরে পড়বে। সেই হিসেবে আমরা মোটামুটি টার্গেট ফিক্সড করেছি, আমাদের ৯-১০ কোটি যেতে পারি তাহলে আমাদের অর্জন হবে। সময় আর বাড়ানো হবে কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে অপারেটরদের আরও অনেক সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল। এটা গণতান্ত্রিক সরকার, আমরা জনপ্রতিনিধি, মানুষের ভোগান্তি দেওয়ার জন্য আমরা আসিনি। আমরা সবকিছু যাচাই করছি। আগামীকাল ৩০ এপ্রিল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব। কারণ জনমতের প্রতি এই সরকার সব সময় শ্রদ্ধাশীল। ওই বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চাই। অন্য যারা আছেন তারা বিষয় বিভিন্ন অজুহাত নিয়ে আসবেই। সেটাকে গুরুত্ব দিতে গেলে কাজটুকু সঠিকভাবে হবে না। জনগণের সমস্যা হচ্ছে কি না তারা কী চায় তাদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে চাই। তাদের মতামতই আমাদের শিরোধার্য। তবে এটা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলবে না, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা থাকবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ গাজী গোলাম দস্তগীর, তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী উপস্থিত ছিলেন।