ক্যান্সারের বিস্তার ধীর করতে বিশেষ অ্যান্টিবডির সন্ধান

0
455

ক্যান্সার ছড়ানোর প্রক্রিয়াকে অতি ধীরগতির করে দিতে নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিউআইএমআর বার্গহফার মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা এমন এক ধরনের অ্যান্টিবডির সন্ধান করেছেন যা ক্যান্সারের বিস্তার অনেক ধীর করে দেয়। অ্যান্টিবডি এমন এক প্রোটিন জাতীয় পদার্থ যা জীবদেহে যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে। সন্ধানকৃত অ্যান্টিবডি মেলানোমার বিস্তার আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি রোগ প্রতিরোধী ‘নেচারাল কিলার (এনকে)’ কোষগুলোকে সক্রিয় করে ফুসফুস, স্তন এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার বিস্তারে ধীরগতি আনে। প্রধান গবেষক প্রফেসর মার্ক স্মাইথ জানান, রোগ প্রতিরোধী কোষের উপরিভাগে অবস্থান করে সিডি৯৬ নামের প্রোটিন। রোগ প্রতিরোধী কোষগুলো অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল হওয়ার কারণে অনেক সময় স্বাস্থ্যকর কোষগুলোকেও আক্রমণ করে বসে। সিডি৯৬ প্রোটিনের কাজ হলো, রোগ প্রতিরোধী কোষকে অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ভুল কাজ করা থেকে বিরত রাখা। রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে আটকে দেয় ক্যান্সারের কোষ। তখন দেহ ক্যান্সার কোষকে চিহ্নিত করতে পারে না। ফলে ক্রমেই ক্যান্সার বিস্তার লাভ করে। নতুন এ গবেষণায় প্রফেসর স্মাইথ এবং তার সহকর্মীরা দেখেছেন, যদি সিডি৯৬-কে অ্যান্টিবডির ব্যবহারে আটকে দেওয়া যায় তবে আরো বেশি এনকে কোষ উৎপন্ন হবে। নতুন এ গবেষণা ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচান করবে। ইমিউনোথেরাপি এমন এক ক্ষেত্র যা ক্যান্সারের চিকিৎসাকে আরো উন্নত করছে। ইতিমধ্য এ চিকিৎসাব্যবস্থা ক্যান্সারের চিকিৎসায় অগ্রগতি আনছে। বিশেষ করে সাইটোটক্সিক টি সেল নামের এক ধরনের রোগ প্রতিরোধী কোষ নিয়ে কাজ করছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। উপসংহারে স্মাইথ বলেন, নেচারাল কিলার কোষগুলোকে টার্গেট করে ক্যান্সার বিস্তারের প্রক্রিয়াকে ধীরগতির করে দেওয়া যায়। অন্য কোনো ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এ ব্যবস্থা। সূত্র : ডিএনএ ইন্ডিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here