অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ৪৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় অবকাঠমো উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিবেন। জার্মানির ফ্রাংফুটে আগামী সপ্তাহে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থমন্ত্রী চারদিনব্যাপি এই বৈঠকে যোগ দিতে ফ্রাংফুটের উদ্দেশে রোববার ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ২ মে থেকে ৫ মে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ৩ হাজারের বেশি প্রতিনিধি যোগ দেবেন। যাদের মধ্যে থাকবেন অর্থ ও উন্নয়ন মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ, বিনিয়োগকারি, সাংবাদিক এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা। বৈঠকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ আজ বাসসকে বলেন, বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বৈঠকে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ, সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দর এবং করিডরসহ আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং অবকাঠামো সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্ট উপস্থাপন করবেন। তিনি আরো বলেন, ডকুমেন্টে বিনিয়োগের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ অবকাঠামোতে বিদেশী বিনিয়োগে বিনিয়োগকারিদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবে।
এডিবি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বড় বিনিয়োগ করেছে। এখন টেকনিকেল ও আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নে এডিবি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ দিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সহায়তায় এই ঋণ দেয়া হয়।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের একজন কর্মকর্তা বাসসকে জানান, এডিবির ৪৯তম বার্ষিক সাধারণ সভার ফলাফল থেকে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তায় আরো বেশি এডিবি অর্থ সহায়তা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বছর এডিবির বার্ষিক সভার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘টেকসই’র জন্য সহযোগিতা’ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য সহায়তায় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো। বৈঠকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর বক্তব্য তুলে ধরা হবে। এগুলো হচ্ছে, ক্লিন এনার্জি এবং জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই সরবরাহ এবং উৎপাদন চেইন, কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ট্রেইনিং ইমপ্লয়মেন্ট, সিটিস, অবকাঠামো এবং নগর উন্নয়ন, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি, আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন ইকোনমিক এন্ড ফাইন্যান্স এবং এডিবি প্রশাসন ও শাসন। ৩ মে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশ্বব্যাপী সম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের কারণ অনুসন্ধান এবং প্রবৃদ্ধি কাঙ্খিত পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করা হবে।
এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সাথে একটি যৌথ সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে।