যুদ্ধাপরাধ: কিশোরগঞ্জের ৫ আসামির রায় কাল

0
248

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ ও তার সহোদর আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আগামীকাল রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ের এই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন। এর আগে মামলা আমি শামসুদ্দিনের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ রানা এবং পলাতক বাকি চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। পাশাপাশি মামলার প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানাও আসামিদের বিরুদ্ধে তাদের পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। পরে উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি গত ১১ এপ্রিল রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। উল্লেখ্য, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের ৫ জনের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগের ওপর রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষিদের সাক্ষ্যগ্রহণ ট্রাইব্যুনালে। এ মামলার অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ গ্রেপ্তার আছেন। আর পলাতক বাকি চার আসামী হলেন- শামসুদ্দিনের সহোদর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান, আজহারুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন । এ মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তত ৪০ জনকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষি হিসেবে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে প্রসিকিউশন পক্ষ জানিয়েছেন। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রসিকউটর সৈয়দ হায়দার আলীর কাছে ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শামসুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেপুর বিল, কিরাটন বিলসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকার বাহিনী নিয়ে অত্যাচার নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এক বছর পাঁচ মাস ১৮দিন তদন্ত করে গত ২৪ নভেম্বর তদন্ত কাজ শেষ হয়। অভিযুক্তদের নাসিরউদ্দিন ও শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীদের সহায়তায় হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে তদন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আসামীদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুশ শুকুর খান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here