আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি :
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি ঝুকিপূর্ন ব্রীজদিয়ে প্রতিদিন আট মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সদস্যসহ শিক্ষার্থী ও শতশত লোকজন জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়াইল গ্রামে “মুক্তিযোদ্ধা” বাড়ি হিসেবে পরিচিত সিকদার বাড়ির খালের উপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একটি স্ল¬াব আয়রন ব্রীজ নির্মান করা হয়েছিল। ওই ব্রীজের বিভিন্ন স্থানের স্ল¬াব ভেঙ্গে লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ব্রীজের উপর বাঁশ দিয়ে পাটাতন তৈরী করা হয়। ওই সেতু দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীসহ ওই বাড়ির আট মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন চলাচল করছে। ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বখতিয়ার সিকদার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই বাড়িতে প্রবেশের জন্য কয়েক বছর আগে প্রায় ৪০ফুট দীর্ঘ স্লাবের একটি আয়রণ ব্রীজ নির্মান করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ দিনেও তা সংস্কার না করায় অধিকাংশ স্ল¬াব ভেঙ্গে ব্রীজটি চলাচলে ঝুকিপূর্ন হয়ে পরেছে। তিনি আরও বলেন, ওই বাড়িতে দুই জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ আটটি মুক্তিযোদ্ধা পরবিার বসবাস করছে।
মুক্তিযোদ্ধা স্ত্রী আলেয়া বেগম জানান, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদে বছরের পর বছর ধর্না দিয়েও ব্রীজটি সংস্কার করাতে পারেনি। তাদের স্কুলগামী ছেলে মেয়েদের যাতায়াতের জন্য প্রতি বছর নিজস্ব উদ্যোগে ব্রীজের ভাঙ্গা স্থানে বাশ ও কাঠ দিয়ে পাটাতন তৈরী করে কোন রকমে চলাচল করছেন। এর পরেও হাটি হাটি পা-পা করা শিশুরা ওই ব্রীজে উঠে অনেকেই খালের পানিতে পরে আহত হয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রীজ দিয়ে চলাচলের কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাজকুমার গাইন সাংবাদিকদের জানান, চলাচলের জন্য ওই ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাই দেখে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লি¬¬ষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রাথমিক ভাবে সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে।