একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর, আল-শামস, রাজাকারদের সহযোগিতা না পেলে পাকিস্তানি সৈন্যরা দুই মাসও বাংলাদেশ ভুখণ্ডে অবস্থান করতে পারতো না। আজ মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানির সময় তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে উদ্দেশ করে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিচারের নামে তামাশা চাই না। কারণ এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সারাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করছে। এ জন্য সব আইনি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এবং যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখেই এই বিচার করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্যের পর নিজামীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মূল হোতাদের ছেড়ে দিয়ে ৪০ বছর পর চুনোপুঁটিদের বিচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবেই এই বিচার করা হচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ ভুখণ্ডে যে নৃশংসতা, বর্বরতা সংগঠিত হয়েছে তা কসোভো ও যুগোশ্লোভিয়ার যুদ্ধের ভয়াবহতার সঙ্গে তুলনা চলে না। ওই গণহত্যা একমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নৃশংসতার সঙ্গে তুলনা করা যায়। প্রধান বিচারপতি ও নিজামির আইজীবীর মধ্যে অপরাধের ভয়াবহতা নিয়ে কথোপকথোনের পর আবারো রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। খন্দকার মাহবুবের শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সকাল ৯টা ২৩ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত নিজামীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান এ আইনজীবী আদালতের শুনানি শেষে সংবাদকর্মীদের বলেন, আশা করি উচ্চ আদালতে আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বহাল থাকবে। অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষ হলে আগামী ৫ মে নিজামীর রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।