চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতি এল ই ডি তে রূপান্তরের পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

0
434

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন তাঁর ভিশন অনুযায়ী নগরীকে শতভাগ আলোকিত করার প্রত্যয়ে নগরীর বাতিগুলোকে এল ই ডি’তে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বিদ্যমান সড়ক বাতিগুলোকে এলইডি লাইটে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ লক্ষে ৪৯ লক্ষ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ৩ মে ২০১৬ খ্রি. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর কাজীরদেউড়ী মোড়ে প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি সুইচ অন করে এ প্রকল্পের শুভ সুচনা করেন। এল ই ডি পাইলট প্রকল্পের আওতায় নগরীর কাজীরদেওড়ী থেকে লালখান বাজার হয়ে টাইগার পাস পর্যন্ত ১০০ টি এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী রোডে স্থাপন করা হয়েছে ৭৮ ওয়াটের ৬০ টি এলইডি বাতি এবং ৪০ টি এল ই ডি বাতি হচ্ছে ১১৪ ওয়াটের। ইতোপূর্বে এসব রোডে ১৫০ ওয়াটের সোডিয়াম বাতি ছিল। নগরীর কাজীর দেউরীতে এল ই ডি বাতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এলইডি বাতি সংযোজনের মধ্য দিয়ে আলোকায়নে এক নতুন যুগের সুচনা হল। এরই ধারাবাহিকতায় ৪১ টি ওয়ার্ডে সড়ক, গলি, উপ-গলিতে পরিবেশ বান্ধব এলইডি বাতি সংযোজন করা হবে। এতে করে বিপুল পরিমান অর্থ সাশ্রয় হবে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নাগরিকদের প্রদেয় ট্যাক্সের বিনিময়ে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তিনি বলেন, কাউন্সিলরদের সম্মানী, সুযোগ-সুবিধা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সহ আলোকায়ন, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা এ সবই নাগরিকদের ট্যাক্সের বিনিময়ে প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, আমি নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য স্বপ্রনোদিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগনের সেবকের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সেবা দেব, সেবার বিনিময় নেব না- এ প্রত্যয় করেছি। আমার জন্য নির্ধারিত বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, গাড়ী-বাড়ী, জ্বালানী, আবাসিক এর সুযোগ-সুবিধা, ব্যক্তিগত কর্মচারীর সুযোগ সুবিধা কোনটাই নিচ্ছিনা। অতীতে চসিকে এ ধরনের নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। তবে নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে শতভাগ সততা, নিষ্ঠা ও দায়বদ্ধতা থেকে নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাব। তিনি বলেন, না প্রাপ্তির বেদনা বা পরাজিত হওয়ার বেদনা মানুষ সহজে ভুলতে পারে না। সেই যন্ত্রনা থেকে যদি কেউ বিরুপ মন্তব্য বা বক্তব্য দেন তাতে নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্থ হবে না। মেয়র বলেন, নগরবাসীকে দেয়া ওয়াদা ও ভিশন শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক বিশ্বমানের নগর গড়ার প্রত্যয়ে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে চট্টগ্রাম রূপান্তরিত হবে। ২০১৬ সনের মধ্যে ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রম, ২০১৭ সনের মধ্যে সবুজায়ন এবং ৩ বছরের মধ্যে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে পরিপূর্ণ আলোকায়ন সহ সকল সড়ক, লেইন-বাইলেইন সমূহকে পাকা সড়কে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন তার লক্ষ্য থেকে কেউ একচুল পরিমান বিচ্যুতি করতে পারবে না। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অতীতের দায় দেনা, অনিয়ম ও দূর্ণীতি থেকে সিটি কর্পোরেশনকে নিয়ম নীতির মধ্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় অচীরেই সিটি কর্পোরেশনে চেইন অব কমান্ড পরিপূর্ণভাবে ফিরে আসবে। মেয়র সম্মানিত নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির ব্যবহার করে প্রাপ্ত বিলের বিপরীতে যেভাবে আমরা বিল পরিশোধ করে থাকি,ঠিক অনুরূপভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবা’র ক্ষেত্রেও হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। ট্যাক্স না দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করে নাগরিক সেবায় অংশ নিতে মেয়র আহবান জানান। এলইডি বাতির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জাবেদ। বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শ্রী ঝুলন কান্তি দাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এলইডি বাতি’র শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহফুজুল হক। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিউল আলম, ৩৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসমাইল বালী, ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবুল হাশেম, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহ, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিম উল্লা বাচ্চু, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন চৌধুরী আশু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাবের আহমদ, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিসেস আবিদা আজাদ, মিসেস মনোয়ারা বেগম মনি, জেসমিন পারভীন জেসি, জেসমিনা খানম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আকরাম খান, সিবিএ সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সাধারন সম্পাদক মোরশেদ আলম চৌধুরী, সহ সভাপতি জাহেদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী বিবেক কান্তি দাশ, জামাল উদ্দিন, আবুল হাশেম সহ সহকারী প্রকৌশলী ও উপ সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here