প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি

0
387

প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে ১৯৭৯ সালের ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এই দায়িত্ব পালন করলেও সংবিধান সংশোধনের ফলে ওই অধ্যাদেশ রহিত হওয়ায় নতুন আইন প্রণয়নের জন্য ‘প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিল-২০১৬’ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে ‘প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিল-২০১৬’ নামের আরো একটি বিল পাস হয়। বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাঁদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন-২০১১ দ্বারা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশগুলো কার্যকারিতা হারায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘দ্য ডিফেন্স সার্ভিস (সুপ্রিম কমান্ড) অর্ডিন্যান্স-১৯৭৯’ অধ্যাদেশটি (১৯৭৯ সালের ১ নম্বর আইন) আদালত কর্তৃক বিলুপ্ত হওয়া সময়ের মধ্যে জারি করা। অধ্যাদেশটির অধীন বিধানগুলোর কার্যকারিতা জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে নতুন আইন করা প্রয়োজন। এ জন্য বিলটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বিলটি আইনে রূপান্তরিত হলে রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর সর্বাধিনায়ক হবেন এবং তিনি তাঁর ওপর ন্যস্ত প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর সর্বাধিনায়কতা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর প্রধানদের মাধ্যমে প্রয়োগ করবেন। বিলে আরো বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির সাধারণ নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোর প্রধানরা তাঁদের অধীন বাহিনীর ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এদিকে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (কতিপয় আইন সংশোধন) বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৮ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা অধ্যাদেশগুলো কার্যকারিতা হারায়। কিন্তু অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি করা সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর কিছু বিধান জনস্বার্থে বহাল ও অক্ষুণ্ন রাখা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নে এই বিলটি আনা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here