সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া একটি চলচ্চিত্র শঙ্খচিল নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বাংলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। চলচ্চিত্রটির পরিচালক গৌতম ঘোষ বলছেন, সীমান্তে কেবল চোরাচালান আর পাচারের গল্পের বাইরে সেখানকার দুই পাড়ে বাস করা মানুষের মানবিক অনুভূতি নিয়ে একটি চলচ্চিত্র বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচকরা বলছেন, সেখানে বাংলাদেশ অংশের অনুভূতির প্রতিফলন নেই। ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি চলচ্চিত্র শঙ্খচিল সম্প্রতি ঢাকা এবং কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে। এর পরই সেটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে বাংলাদেশের সমালোচকদের এক অংশের অভিযোগ, শঙ্খচিলে পরিচালক গৌতম ঘোষ দুই দেশের সীমান্তকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে যে বক্তব্য তুলে ধরেছেন সেটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মান স্বরূপ। কিন্তু পরিচালক ঘোষ বলছেন, শঙ্খচিলের উদ্দেশ্য সেটা নয়। তিনি বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে দুই দেশের মানুষের বাধাহীন যাতায়াত এবং দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের আত্মীয়তার কথা বলতে চেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচক ওয়াহিদ সুজন বলছেন, সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষের মানবিকতার কথা বলা হলেও, চলচ্চিত্রটির কোথাও বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যা কিংবা নিহতদের পরিবারের যন্ত্রণার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। সিনেমার প্রধান চরিত্র মুনতাসীর চৌধুরী বাদলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। চলচ্চিত্রটি ইতিমধ্যেই সেরা বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে।