যুদ্ধাপরাধী মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর সাথে দেখা করতে তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ছয় সদস্য শুক্রবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে যান। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, নিজামীর স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ ছয়জন শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কারাগারে পৌঁছান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজামীর স্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার নিজামী, ছেলে নজিব মোমেন ও নাইমুর রহমান, মেয়ে খাদিজা মোহসীনা ও পুত্রবধূ সালেহা ও রাইয়ানকে কারাগারে ঢুকতে দেওয়া হয়। কারাগারের একটি কক্ষে নিজামীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়েছে বলে কারাগারের জেলার মো. নাশির আহমেদ জানান। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকরের আগে শেষ বিচারিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী নিজামী আছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর কনডেমড সেলে। সেখানে বসেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি রেডিওতে রিভিউ খারিজের খবর পান বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়। নিয়ম অনুযায়ী একাত্তরের বদরপ্রধান নিজামী এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। তিনি তা না চাইলে বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে। সে ক্ষেত্রে দণ্ড কার্যকরের আগে আরও একবার নিজামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে তার পরিবারের সদস্যদের। নিজামীর আইনজীবী এস এম শাজাহান বৃহস্পতিবার রায়ের পর জানান, জামায়াতের আমির প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না- সে সিদ্ধান্ত তিনি বা তার পরিবারের পক্ষ থেকেই নেওয়া হবে। জেলার নাশির আহমেদ জানান, রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেলে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে নিজামীর সিদ্ধান্ত জানতে চাইবে। এর নিষ্পত্তি হলেই সরকার দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।