সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দস্যু বাহিনী প্রধান আলম নিহত

0
420

সুন্দরবনে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জলদস্যু আলম বাহিনী প্রধান নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলাধীন শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। আলম বাহিনীর সঙ্গে প্রায় আধাঘন্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে র‌্যাব সদস্যরা বন তল্লাশি চালিয়ে বাহিনী প্রধান আলম খানের (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দস্যুদের ব্যবহৃত ১২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০৯ রাউন্ড গুলি, বেশকিছু ধারালো অস্ত্র, বেশকিছু রেশনিং সামগ্রী এবং একটি সোলার প্যানেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১০ মার্চ সুন্দরবনের চাঁন্দেরশর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কুখ্যাত বনদস্যু নয়ন বাহিনী প্রধানসহ চার দস্যু নিহত হয়। র‌্যাব বরিশাল-৮-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, মুক্তিপণের দাবিতে জলদস্যু বহিনীর দস্যুরা কয়েকজন জেলেকে অপহরণ করেছে- এমন খবরের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাব সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা বনের মৃগমারী এলাকায় পৌঁছালে বনের মধ্যে থেকে দস্যুরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টাগুলি চালায়। সকাল পোনে ৭টা পর্যন্ত আধাঘণ্টা ধরে গোলাগুলির একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটলে বন তল্লাশি করে আলম বাহিনী প্রধান আলম খানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম আরো জানান, গোলাগুলির একপর্যায়ে ১০ থেকে ১২ জন দস্যু সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে গেছে। তবে দস্যুদের ওই আস্তানায় কোনো জেলেকে পাওয়া যায়নি। আলমের মৃতদেহ এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গুলিসহ বিভিন্ন মালামাল মংলা থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। এনিয়ে তিন বছরে সুন্দরবনে র‌্যাব বরিশাল-৮এর সঙ্গে দস্যুদের বন্দুকযুদ্ধে ১৬৭ জন জলদস্যু-বনদস্যু নিহত হয়েছে। নিহত ওই দস্যুদের মধ্যে ৩৮ জন রয়েছে বাহিনী প্রধান। এ সময়ে দস্যুদের ব্যবহৃত ৩৭০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয় বলে র‌্যাব সূত্র জানায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here