চতুর্থ ধাপের ৭০৩ ইউনিয়ন পরিষদ ভোটেও অনিয়মের অভিযোগ ও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ অনেক এলাকায় গোলযোগ হয়েছে। এমনকি কুমিল্লায় একজন মারাও গেছে। এরপরও প্রথম পাঁচ ঘণ্টার পরিস্থিতি আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় ভালো বলে দাবি করছেন নির্বাচন কমিশন। আজ শনিবার বেলা ৮টা থেকে প্রথম ৫ ঘণ্টার ভোট শেষে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন। মাঠপর্যায় থেকে ইতিমধ্যে অন্তত এক ডজন কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই ও কেন্দ্রের বাইরে গোলযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, আরো চার ঘণ্টা ভোটের সময় রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম অনিয়মের কোনো অভিযোগ যাতে না উঠে, একটি কেন্দ্রও যাতে ভোট বন্ধ করতে না হয়। অথচ কিছু এলাকায় তা ঘটছেই। বেলা ১২টার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজ কক্ষে চার নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে পরিস্থিতি আলোচনায় বসেছেন। আবু হাফিজ বলেন, আমরা এখন নিজেরা বসবো। মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একীভূত তথ্য নিয়ে আলোচনাও করা হবে। তুলনামূলকভাবে ভালো নির্বাচনের আশা করেছিলাম। দেখি, শেষ পর্যন্ত কেমন হয়। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, বরাবরই ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা গোলযোগ হয়ে থাকে। এ ধাপে অপেক্ষাকৃত কম হচ্ছে। যেখানে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আসছে সেখানেই ভোট বন্ধ করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গোলযোগপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত দেবে। ইতিমধ্যে তিন ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে।