বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে সমন্বিত সেবা দানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে হেমাটোলজি বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে এ সেন্টারটি উন্মুক্ত করা হয়। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেমাটোলজি বিভাগ আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে এ সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়। নিশ্চিত হোক নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ প্রতিপাদ্যে বিভিন্ন আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ঘুরে বহির্বিভাগের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি জন্মগত রোগ। এ রোগ নিরাময়ের কোনো সুযোগ নেই। তবে সঠিক পরিচর্যা ও ওষুধ ব্যবহারে একজন রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তিনি বলেন, রক্তের রোগের জন্য এমন কী কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধরনের রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। তা ছাড়া সরকারি সকল হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় রোগের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে। পরে সমন্বিত সেবা দানের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ থ্যালাসেমিয়া সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জানানো হয়, থ্যালাসেমিয়া এক ধরনের বংশগত রক্তশূন্যতাজনিত রোগ। বাংলাদেশে এক কোটির বেশি মানুষ এ রোগের বাহক। প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নবজাতক এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশে একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগে এ রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। শোভাযাত্রাতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম প্রমুখ।