সমুদ্রে ৬৫ দিন বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

0
259

সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাণিজ্যিক ট্রলারের মাধ্যমে সব ধরণের মাছ ও চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ১৭ মের এক আদেশ অনুযায়ী এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত বছর প্রথম সমুদ্রে ৬৫ দিন সব ধরণের ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও ক্রিস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এটা প্রতি বছর বহাল থাকবে বলে মৎস্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। সব বাণিজ্যিক ট্রলারকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়ম ভাঙ্গলে সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৎস্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, পাঁচ বছর ট্রলারের মাধ্যমে আহরিত মাছের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি বছর জুন হতে আগস্ট মাসে সাদা মাছের আহরণ তুলনামূলকভাবে কম। প্রতি বছর তা ক্রমান্বয়ে কমছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টরা মাছের প্রজননকাল বিবেচনায় প্রতি বছর জুন ও জুলাই মাসে সাদা মাছের আহরণ আইন করে বন্ধ রাখার জন্য প্রস্তাব করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। বিশ্বের সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলোতে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি সুরাহা হওয়ায় বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে মৎস্যসহ সব ধরণের সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here