কাম্বলি হয়তো টেন্ডুলকারের চেয়ে প্রতিভাবান ছিল : কপিল

0
256

শচীন টেন্ডুলকার ও বিনোদ কাম্বলি ছিলেন স্কুলের সহপাঠী। এক সাথে খেলতে খেলতে বড় হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরু থেকে প্রতিভার স্বাক্ষর ছিল দুজনার। কিন্তু কাম্বলি অল্প দিনেই হারিয়ে গেছেন। টেন্ডুলকার কিংবদন্তি হয়েছেন। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব মনে করেন, কাম্বলি হয়তো টেন্ডুলকারের চেয়ে প্রতিভাবান ছিলেন। কিন্তু পরিবারের ভূমিকা অনেক বড় বলেই টেন্ডুলকার ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। আসলে পারিবারিক আবহই একজন ক্রীড়াবিদকে ভিন্ন উচ্চতায় উঠতে সহায়তা করে। পুনেতে সফল ক্রীড়াবিদদের বাবা-মায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন কপিল। সেখানে তিনি দুই বাল্যবন্ধু কাম্বলি-টেন্ডুলকারকে টেনে আনেন। “তারা একসাথে শুরু করেছিল। একই রকম প্রতিভাবান ছিল। কাম্বলি হয়তো একটু বেশি প্রতিভাবান ছিল। কিন্তু তার সহায়করা, বাড়ির পরিবেশ, বন্ধু সাহচর্য শচীনের চেয়ে একেবারে আলাদা ছিল।” কপিল বলেছেন, “পরে কি হলো তা আমাদের সবার জানা। শচীন ২৪ বছর খেললো। কাম্বলি প্রাথমিক সাফল্যের ভার নিতে না পেরে হারিয়ে গেল। প্রতিভা এক ব্যাপার। কিন্তু ক্রীড়াবিদদের তার চেয়ে বেশি কিছু দরকার। তাদের বন্ধু, বাবা-মা, ভাই, বোন, স্কুল, কলেজ…সবকিছুর সহায়তা দরকার।” ভারতীয় বাবা-মারা এখন সন্তানকে ক্রিকেটার বানাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু কপিল সতর্ক করে দিয়েছেন বাবা-মাকে, “বাবা-মার উচিত তাদের ছেলে-মেয়েদের বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেওয়া। তাদের কাজ সন্তানকে মাঠে নিয়ে যাওয়া। সন্তান কি করবে আর কি শিখবে তা তাদের ব্যাপার। তারা করতে চায় না এমন কিছু করতে চাপ দেওয়া ঠিক না।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here