তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগামী দেশের মধ্যে কোরিয়া অন্যতম শীর্ষ দেশ। কোরিয়ার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে চায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি, গেম এবং মোবাইল অ্যাপ উন্নয়ন, বিগ ডাটা অ্যানালাইটিকস, ইন্টারেনট অব থিংসসহ আইসিটির বিভিন্ন খাতে কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, এসব খাতে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলায় কোরিয়া বড় ভ’মিকা রাখতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের ১০টি পৌরসভার মেয়রদের জন্য কোরিয়া সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ল্যাপটপ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আহন সিয়ং ডু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পলক বলেন, সরকার ২০২১ সালে আইসিটি রপ্তানী ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিদেশী বিনিয়োগ অনুকুল পরিবেশ তৈরি করেছে। বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনসেনটিভ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তিনি কোরিয়াকে এ সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে কোরিয়ার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করে সিয়ং ডু বলেন, বাংলাদেশের পোষাক খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে। আগামীতে আইসিটি খাতেও কোরিয়া বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরিয়ার অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই মানুষের গড় আয়ে। বর্তমানে কোরিয়ায় প্রতিজন মানুষের গড় আয় ২৬ হাজার মার্কিন ডলার। অথচ ১৯৭১ সাল পরবর্তীতে তা বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ের চেয়েও কম ছিল।