চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে স্পেনে ১.৯ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতে যাওয়ার সংবাদ জানিয়েছেন মাদ্রিদে দায়িত্বরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বাণিজ্যের অগ্রগতি এবং গত কয়েক বছরের প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় নিশ্চিতভাবেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে চলেছে বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, “স্বাধীনতার অব্যবহিত পরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল স্পেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিটা যেহেতু আগে থেকেই অনেক গভীর, এর ধরাবাহিকতায় আমরা আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পাচ্ছি এবং চালিয়ে যেতে চাই। তাছাড়া বিদেশে আমাদের যে মিশনগুলো রয়েছে, আমাদের সবার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে কাজ করে যাওয়া।” হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, “মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। একটি হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশি যারা এদেশে উপার্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রণিধানযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন, তাদেরকে সহায়তা দেওয়া, যেটাকে আমরা কনস্যুলার সার্ভিস বলে থাকি। স্পেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ যেহেতু রাজধানী মাদ্রিদ থেকে অনেক দূরে বার্সেলোনায় বসবাস করেন, তাই আমরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেখানে দুই মাস পরপর কনস্যুলার সেবা প্রদানের। সিদ্ধান্ত মোতাবেক এটি এখন চলছে এবং এতে প্রবাসী ভাই-বোনদের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে, ভবিষ্যতে আরো হবে।” আমদানি-রপ্তানিভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশে স্প্যানিশ বিনিয়োগ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, “প্রবাসীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার পাশাপাশি যে বিষয়টিকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি তা হচ্ছে আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করণীয় তার সবটাই করা। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সবচয়ে বড় বুনিয়াদটা আমরা রচনা করতে যাচ্ছি আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো সুদৃঢ় করার মাধ্যমে। বিদেশে বাণিজ্য বাড়ানো এবং দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার মাধ্যমেই এটা সম্ভব।” তিনি বলেন, “জেনে খুশি হবেন, স্পেনে চলতি অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, আস্থার সঙ্গে বলতে পারি ইনশাআল্লাহ আমরা তা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছি।”