অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ গত সাত বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে।
রোববার রাতে এখানে ‘ওপেনিং অফ বাংলাদেশ পায়োরিটিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে সক্রিয় মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ মিলিয়নে, আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৬ মিলিয়ন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের আওতায় পিএমও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফিন ই কিডল্যান্ড, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জামান ও এটুআই কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, নীতি নির্ধারক, কর্মকর্তা, গবেষক এবং আইটি ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ।
অনুষ্ঠানে কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. বিজরন লুমবার্গের একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মুহিত বলেন, যদিও বাংলাদেশ শিক্ষা প্রসারের একটি ভাল অগ্রগতি অর্জন করেছে, কিন্তু কারিগরি শিক্ষার প্রসারে পিছিয়ে আছে এটা সত্যিই আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, এটি আমাদের দেশের শিক্ষা খাতের জন্য একটি ভীতিকর প্রবণতা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জলবাযু বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের শিকার হচ্ছে। আমরা বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য খুবই সামান্য দায়ী।
তিনি বলেন, আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশ-চীন ও ভারতে অনেক বেশী কার্বন নির্গমন হয়। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জলবায়ু পরিবর্তনের ইস্যু মোকাবেলার জন্য সারাবিশ্ব জুড়ে কার্বন নিঃসরণকারী শীর্ষ সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।