সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি আজ ভারতের বোম্বে শহরের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ফুসফুসে ক্যান্সারজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন। হাসপাতালে তার দুই মেয়ে ও ১ নাতী সঙ্গে ছিলেন।
তাকে ভারতের বোম্বে শহরের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ক্যান্সার নিরাময়ে তাকে দু’বার কেমোথেরাপি দেয়া হয়। তৃতীয় কেমোথেরাপি দিতে গত ২১ এপ্রিল তিনি আবার ভারতে যান। তিনি ক্যান্সার ছাড়াও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
মরহুম প্রতিমন্ত্রীর মরদেহ আগামীকাল বেলা ১২টা নাগাদ বাংলাদেশে আনা হবে। বেলা ১টায় তার মরদেহ কাকরাইলের রমনা চার্চে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। পরে বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। সেখান থেকে তাকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হবে। সংসদ ভবন থেকে হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেয়া হবে ও সমাধিস্থ করা হবে।
মরহুম প্রতিমন্ত্রী খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি গারো ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে সামাজিক সংস্থা, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে সরাসরি সক্রীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ২০০৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার মৃত্যুতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মোঃ বাবুল হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব বেগম নাছিমা বেগম ও সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।