জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে ছেলে ব্যারিস্টার আব্দুল মোমিন বাবা নিজামীর জানাজা পড়ান। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিজামীকে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটেই মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির মঞ্চে তুলে গলায় ফাঁস পরানো হয়। প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া শেষ করে ১২টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
ফাঁসি কার্যকরের কিছুক্ষণ পরই র্যাব-পুলিশের কড়া প্রহরায় নিজামীর মরদেহবাহী গাড়িবহর রওয়ানা হয় তার গ্রামের বাড়ি মনমথপুরের উদ্দেশ্যে। রাজধানীর শাহাবাগ, মহাখালী, উত্তরা, গাজীপুরের চন্দ্রা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে ভোর সাড়ে ছয় টার দিকে গ্রামের বাড়িতে পৌছে নিজামীর মরদেহ। নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারীরা আনন্দ মিছিল করেন। বিপরীতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে পরদিন শুক্রবার ভোর ৫টা পর্যন্ত দেশব্যাপী হরতাল ডাকে জামায়াত।
নিজামীর রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত ৫ যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলো। মানবতাবিরোধী অপরাধে আমির নিজামী ছাড়াও এর আগে পর্যায়ক্রমে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটি মেম্বার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হলো নিজামীকে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন তিনি।