ব্রাজিলের সিনেট প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়ার পর দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের। আগামী ২০১৯ সালের জানুযায়রি পর্যন্ত তিনি এই পদে থেকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট রৌসেফের অপসারণের জন্য সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন ছিল। বুধবার ভোটাভুটিতে ২০ জন সিনেটর প্রেসিডেন্ট রৌসেফের পক্ষে এবং ৬১ জন বিপক্ষে ভোট দেয়। আর এতে বিদায় নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের। একই সঙ্গে দেশটিতে বামপন্থি ওয়ার্কার্স পার্টির টানা ১৩ বছরের শাসনের অবসান হয়। চলতি বছরের মে মাসে রৌসেফ বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন রৌসেফ সরকারের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট তেমের। শপথ নেওয়ার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও ১১ শতাংশ বেকারত্ব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে সমর্থন দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্ষমতায় তার উপস্থিতি নতুন যুগের সৃষ্টি করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাসের ঘুষ কেলেঙ্কারি অভিযোগ উঠার পর লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে, তারা রৌসেফের পদত্যাগ দাবি করে। ওই কেলেঙ্কারি সঙ্গে রৌসেফের কোনো সংস্পর্শ না থাকলেও তার জোট সরকারের শরিক অনেক নেতা এবং ব্রাজিলের ব্যবসায়ী নেতাদের অনেকেই জড়িত আছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। পেট্রোব্রাসের তদন্তে শরিক দলীয় অনেক নেতা ও কংগ্রেস সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর একসময় প্রেসিডেন্ট রৌসেফের বিরুদ্ধে বাজেট ঘাটতি কমিয়ে দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, ২০১৮-র নির্বাচনে সুবিধা পেতেই এমনটি করেছেন তিনি। এই অভিযোগেই অভিশংসনে কংগ্রেসের ভোটে বরখাস্ত হন তিনি। এরপর তিনমাস শুনানি শেষে স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারিত হন।