কোরবানির ঈদের ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির শেষ দিন অনেকটাই পাল্টে গেছে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের চিত্র। আগাম টিকেটের জন্য গত চারদিনের মতো ভিড় দেখা যায়নি শুক্রবার। কাঙ্ক্ষিত টিকেট পেতে কোনো সমস্যা না হওয়ায় ছিল না কোনো আক্ষেপ-অভিযোগও। শুক্রবার সকাল ৮টায় শুরু হয় টিকেট বিক্রি। এদিন দেওয়া হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর ঈদযাত্রার আগাম টিকেট। শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ হবে ১২ সেপ্টেম্বর। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পাঁচদিন ধরে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি করেছে রেলওয়ে। শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে চট্টগ্রামের তূর্ণা নিশীথা, মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস এবং নোয়াখালীর উপকূল এক্সপ্রেসের কাউন্টার একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। এদিন ৭ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ, সোনারবাংলা এক্সপ্রেস এবং মহানগর প্রভাতি ট্রেনের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। সেখানে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় থাকলেও তা গত কয়েকদিনের মতো নয়। রেলওয়ে জানিয়েছে, ঈদযাত্রায় প্রতিদিন কমলাপুর থেকে ৬৯টা ট্রেন ছেড়ে যাবে। কমলাপুর ছাড়াও বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, যশোর ঈশ্বরদী, রাজশাহী, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটসহ বড় স্টেশনগুলো থেকেও অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে কমলাপুরের ২৩টি কাউন্টার থেকে শুরু হয় অগ্রিম টিকেট বিক্রি। সকাল ৯টার পর সিলেটগামী ট্রেনের কাউন্টারে কোনো টিকেটপ্রত্যাশীকে দেখা যায়নি। প্রায় একই অবস্থা ছিল খুলনা, মোহনগঞ্জগামী ট্রেনের টিকেট কাউন্টারেও। কিশোরগঞ্জের ট্রেনের টিকেট কাউন্টারও ছিল প্রায় ফাঁকা। সকাল সোয়া ১০টায় নারীদের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারের লাইনে ছিলেন মাত্র দুজন। মোহনগঞ্জের টিকেট কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা মো. আল আমিন বলেন, “আজ একেবারেই ভিড় নেই। প্রথম দুইঘণ্টায় আমার কাউন্টারে ভিড় ছিল। এখন তো কেউ নাই।” অবশ্য সকালে রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গ এবং জামালপুরগামী ট্রেনের টিকেট কাউন্টারে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। তবে তাও গত চারদিনের মতো নয়।