রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় পূর্বনির্ধারিত জাদুঘর, বিনোদন কেন্দ্র বা পার্ক, শপিং মল, কনফারেন্স রুম নির্মাণ করা হবে। এ জমি অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা হবে না বলে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, পুরাতন জেলখানা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্য। এখানে বঙ্গবন্ধু বন্দি ছিলেন, সেখানে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। কাজেই এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ইতিহাস সংরক্ষণে এখানে একটি জাদুঘরসহ পুরাতন ঢাকাবাসীর জন্য একটি কনফারেন্স রুম, বিপণিবিতান, পার্ক হবে। পুরাতন জেলখানার জমি এসব কাজে ব্যবহার করা হবে, অন্যকোনো কাজে নয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, হলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জে ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল করে দেওয়া হবে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ২৫ বিঘা জমি আছে। আর ছাত্রী হোস্টেল হবে বর্তমান ক্যাম্পাসের পাশেই। বর্তমান ক্যাম্পাসের মধ্যে ২০তলা প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাগান্বিত হয়ে বলেন, এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা? ছাত্ররা থাকবে কেরানীগঞ্জে, অন্য এক জায়গায় প্রশাসনিক ভবন, আরেক জায়গায় ছাত্রী হল? এটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা অস্থায়ীভাবে চলতে পারবে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেই ভাবে পরিকল্পনা করুন। একটি অখণ্ড জমিতে হল, হোস্টেল, প্রশাসনিক ভবন, টিএসসিসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা যা দরকার তা যেন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেরানীগঞ্জে কি আর জমি ছিল না? সেখানে কি বেশি করে জমি কিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবন এক জায়গায় করা যেত না? পরে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ব্যবস্থা এক জমিতে করতে পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রীকে।