জামায়াতের হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক

0
249

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের প্রভাব রাজধানীতে পড়েনি। জামায়াত বা তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো পিকেটিং বা কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি। হরতালবিরোধীদের কর্মকাণ্ডও সেভাবে নজরে পড়েনি। জনজীবন ছিল স্বাভাবিক।

গত শনিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হয়। ওই দিনেই এর প্রতিবাদে জামায়াত সারা দেশে হরতাল ডাকে। আজ সোমবার বেলা দুইটায় এই হরতাল কর্মসূচি শেষ হবে।

সকালে রাজধানীর সড়কগুলোতে অন্যান্য দিনের মতোই যান চলাচল করতে দেখা গেছে। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজও খোলা। বড় শপিং কমপ্লেক্স গুলোও স্বাভাবিক সময়ের মতোই খোলা থাকবে বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা এর আশপাশের এলাকায় হরতালবিরোধী বা হরতালের সমর্থনে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ পরীক্ষা, ক্লাস চলছে।দূরপাল্লার লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের সময়সূচির কোনো বদল হয়নি। সময়মতোই এগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

মগবাজারে সিগনালে প্রাইভেট কারের চালক জসিমউদ্দিন বললেন, হরতালে তিনি নিয়মিতই গাড়ি চালাচ্ছেন। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাঁর গাড়িটি ভাড়া দেওয়া। ওই প্রতিষ্ঠান হরতালে খোলা আছে। তাঁর মতে, ফাঁসি হলে জামায়াতের হরতাল ডাকা একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু হরতালের কোনো প্রভাব থাকে না।

রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান এলাকায় হরতালের তেমন প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে দলের নেতা-কর্মীদের তেমন ভিড় ছিল না।

পল্টন মোড়ের ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী নাজিমুদ্দিন বললেন, সকাল সকাল দোকান খুলতে হয়। কেননা, এই এলাকায় অফিসে লোকজন সকালে আসেন। ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজন আসে। হরতাল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শুনেছি, আজ হরতাল। অনেক দিন ধরে দেখছি, মানুষ এখন আর হরতাল মানে না।’ তবে হরতালে প্রাইভেট কার অন্য সময়ের তুলনায় কম থাকে বলে তিনি মনে করেন। আরও বললেন, ঈদের আগেই তাঁদের বিক্রি বেশি। এ কারণে হরতালে দোকান বন্ধ রাখা যাবে না।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here