‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ স্লোগানে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে পল্লী রেশনিং কার্যক্রম। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে এ চাল বিতরণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হবে। পল্লী রেশনিং কার্ডধারীদের বছরে ৫ মাস দেওয়া হবে এ খাদ্য সহায়তা। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব মামুন অর রশীদ বলেন, বুধবার সকালে চিলমারীর থানাহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুড়িগ্রাম সফরে প্রধানমন্ত্রী চাল বিরতণ কর্মসূচির উদ্বোধন ছাড়াও একটি সুধী সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান উপ-প্রেসসচিব। এর আগে রবিবার দুপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এবং পরবর্তীতে মার্চ ও এপ্রিল মাসে এ চাল দেওয়া হবে। যে পাঁচ মাস মানুষের কষ্ট হয়, চালের দাম একটু বাড়তির দিকে থাকে, গরিব মানুষের একটু কষ্ট হয়, সেই পাঁচ মাস ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ১০ টাকায় সুষ্ঠু চাল বিতরণ নিশ্চিত করা হবে।
১০টাকায় চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে বুধবার কুড়িগ্রাম যাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে এরই মধ্যে নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারীকে। গোয়েন্দা সংস্থ্যাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনসহ নতুন সাজে সেজেছে এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চিলমারীসহ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।