এবারও কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পশুর কাঁচা চামড়ার দাম কমাতে তৎপর ব্যবসায়ীরা। বিশ্ব বাজারে চামড়ার মার্কেট পড়ে যাওয়ায় এবার প্রথমে দাম নির্ধারণই করতে চাননি তারা। শেষ পর্যন্ত সরকারের চাপে দাম নির্ধারণ করার বিষয়ে একমত হলেও পানির দামেই চামড়া কিনতে চাইছেন। এবারের ঈদে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করতে বুধবার চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বৈঠকে বসছে। ওই বৈঠকেই নির্ধারণ করা হবে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার চামড়া সংগ্রহে নির্ধারিত মূল্য। বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ বলেন, চামড়ার দাম নির্ধারণে আমরা বুধবার বসব, সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হবে। তবে দাম কমবে এটা নিশ্চিতই বলা যায়। এর আগে সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার চামড়ার দাম ১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়। যদিও এতে মন্ত্রীর সায় নেই। বৈঠকে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেন, এত কমালে চামড়ার মার্কেটই থাকবে না। আপনারা যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে দাম নির্ধারণ করেন। গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট কোরবানির গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে ঈদের সময় গরুর কাঁচা চামড়ার নির্ধারিত মূল্য ছিল প্রতি বর্গফুট ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং খাসি ২০ থেকে ২২ টাকা। এবার আরও এক দফা কমিয়ে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দাম কমতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বাইরের মার্কেটে এখন ভালো মানের এ, বি ও সি গ্রেডের চামড়া প্রতি বর্গফুট ১ ডলার বা তার কিছু বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। নিন্ম মানের চামড়ার দাম একেবারেই কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।