শুটিং চলছে। ভরা সেট। তারই মাঝে রেখাকে ধরে জোর করে চুমু খেয়েছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। রেখা: দা আনটোল্ড স্টোরি বইটিতে জানানো হয়েছে এই তথ্য। আনজানা সফরের শুটিংয়ে ঘটেছিল ঘটনাটি। পরিচালক রাজা নাওয়াতে ও ছবির প্রধান চরিত্র বিশ্বজিৎ একটি প্ল্যান করেছিলেন। রেখাকে সেই প্ল্যানের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে দেওয়া হয়নি। সেটের মধ্যে রেখাকে জোর করে টেনে এনে সেদিন চুমু খেয়েছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাও চুমু খেয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন তেমন নয়। বেশ অনেক্ষণধরেই চুমুপর্ব চলেছিল। রেখা জানতেন না এমন হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। গোটা সেট সেদিন রেখার সেই হয়রানি দেখেছিল। রেখার অজান্তের তাঁর গায়ে বসে গিয়েছিল “সেক্স-কিটেন”-এর তকমা। পরে বিশ্বজিৎ জানিয়েছিলেন, পরিকল্পনাটি আগাগোড়া রাজা নাওয়াতের মস্তিষ্কপ্রসূত। “পরিচালক পরিকল্পিত” সেই আইডিয়াটি সেদিন এক বছর পনেরোর মেয়েকে বলিউডের অন্য একটি দিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল। রেখার বিয়ে বইটিতে রেখা ও বিনোদ মেহেরার বিয়ের কথাও বলা হয়েছে। কলকাতায় তাঁরা বিয়ে করে বম্বে যাওয়ার পর বিনোদের মা কমলা মেহেরা রেখাকে বাড়ি ঢুকতে দেননি। প্রতিবেশীদের সামনে অপমান করেছিলেন। এমনকী তিনি পায়ের চটি খুলে রেখার দিকে ছুঁড়ে মেরেছিলেন। সিঁদুর ঋষি কাপুর ও নীতু সিংয়ের বিয়েতে রেখা সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চনও। বরবধূর সঙ্গে কথার পর রেখা অমিতাভের দিকে হেঁটে যান রেখা। দু’জনে এমনভাবে কথা বলছিলেন, যেন কিছুই হয়নি। ফলে রেখার সিঁদুর নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা মোড় নেয় অন্যদিকে।