তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং তরুণ সাব্বির রহমান। ৪৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু আচমকা ধস নামল টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে। ৪১ রান করে রানআউট হয়ে গেলেন মুশফিক। এক ওভার পরেই কোনো রান না করে অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে ক্যাচ দিলেন নাসির। সাব্বির লড়াই করছিলেন। কিন্তু লায়নের ফিরতি ওভারে হ্যান্ডসকম্বের তালুবন্দী হলেন ২২ রান করা সাব্বির। উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী শফিউল ইসলাম।
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুল ইসলামের (৪) উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দলীয় ৬১ রানে অজি স্পিনার নাথান লায়নের বলে তিনি এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তামিমের নতুন সঙ্গী ইমরুল কায়েসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
মাত্র ২ রান করে সেই লায়নের বলেই এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হন।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন তামিম ইকবাল এবং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৪তম এবং চলতি ম্যাচে টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তবে আবারও সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো দেশসেরা ওপেনারকে। প্যাট কমিন্সের বলটি তামিমের হ্যান্ডগ্লাভসটি সামান্য স্পর্শ করেছিল। আম্পায়ার আলিম দার প্রথমে আউট দেননি। তবে অজিরা রিভিউ নিলে ৭৮ রান করা তামিমকে ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে।
তামিমের আউটের সাথে সাথে শেষ হয় মুশফিকের সঙ্গে তার ৬৮ রানের দারুণ কার্যকরী এক পার্টনারশিপ। সাকিব আল হাসান তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৮৪ রান করা সাকিব আজ ৫ রান করেই লায়নের বলে কমিন্সের হাতে ক্যাচ দেন।