নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথম সকালেই বরিশালের বাজারে ইলিশ

0
277

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিন (সোমবার) সকালেই বরিশালের নদী তীরবর্তী বাজারগুলোতে ইলিশের দেখা মিলতে শুরু করেছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করে সে ইলিশগুলো বাজারে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎসজীবীরা।
এরইমধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২২ দিন ধরে অনেকটা ঘুমন্ত বরিশাল জেলার সর্ববৃহৎ বেসরকারী মৎস্য অবতরন কেন্দ্র পোর্টরোডে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। প্রথমদিনেই নদীর ইলিশ আমদানিতে বাঁজিমাত করে দিয়েছে জেলার বেসরকারী মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। অবতরন কেন্দ্রটিকে ঘিরে চালু হয়ে গেছে বরফকল ও পরিবহন ব্যবসা।
অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকরা জানান, গত ২২ দিন তারা অলস সময় কাটিয়েছেন। আর প্রথমদিনেই প্রচুর ইলিশ আসায় তাদের মধ্যে যেমন কর্মব্যস্ততা বেড়েছে তেমনি আনন্দ বিরাজও করছে। এমন ইলিশ আমদানী থাকলে কর্মব্যস্ততায় ২২ দিনের কষ্ট স্লান হয়ে যাবে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পোর্ট রোডের অবতরণ কেন্দ্রে প্রথমদিন সকাল থেকে যে মাছ আমদানী শুরু হয়েছে তাতে মৌসুম ভালোই কাটবে। তারা আরও জানান, প্রথমদিনেই হাজার মন ইলিশ আমাদানী হয়েছে।
নুরুজ্জামান নামের এক আড়তদার জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটিতে প্রাণ ফিরে এসেছে। প্রথমদিনেই নদীর ইলিশে পুরোদমে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গেছে। ২/১ দিন পরে সাগরের ইলিশ আসা শুরু করলে কর্মব্যস্ততা আরও বেড়ে যাবে। খুচরো বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, বাজারে ইলিশের কিছু মাছের পেটে এখনো ডিম রয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার সময়টা আরও একটু পিছিয়ে আনা হলে এমনটা হতোনা।
জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস জানান, নিষেধাজ্ঞার সময়ই লক্ষ করা গেছে নদীতে প্রচুর ইলিশের উপস্থিতি। তাই প্রথমদিনেই প্রচুর ইলিশ পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ডিমওয়ালা মাছের বিষয়ে বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলিশ মূলত একবারে শতভাগ ডিম ছারেনা। ছয়টি অমাব্যশা ও পূর্ণিমায় এরা ভাগ ভাগ করে ডিম ছাড়ে। আমরা মূলত মূখ্য একটি অমাবশ্যা ও পূর্ণিমায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। আর এতে ইলিশ যে পরিমান ডিম ছেড়েছে তাতে চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পোর্টরোডে সোমবার সকাল থেকে ঝাটাকা সাইজের ইলিশ মনপ্রতি বিক্রি হয়েছে ছয় থেকে আট হাজার টাকায়, পাশাপাশি গোটলা (চার শত গ্রামের নীচে) ইলিশ মনপ্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার, ভেলকা (চারশ’ থেকে পাচশ’ গ্রাম) ১৫ থেকে ১৭ হাজার, এলসি (ছয় থেকে নয়শ’ গ্রাম) ২২ থেকে ২৫ হাজার আর গ্রেড (এক কেজি বা এর উপরে) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here