ঘুরে আসুন প্রকৃতির বিস্ময় পাহাড়ে পাহাড়ে বান্দরবান

0
82

লিয়াকত হোসেন খান: পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি জেলার নাম বান্দরবান। পাহাড় আর অরণ্যে ঘেরা বান্দরবানের প্রতিটি জায়গাই আকর্ষণীয়। প্রাকৃতিক লীলাভূমি আর খাড়া পাহাড়ের প্রাচীরঘেরা বান্দরবানের পার্বত্যভূমিতে একসময় ঘন গাঢ় বন ছিল। ছিল জনমানবশূন্য। এ অঞ্চলের বোমাং রাজা মাথান প্রু অবস্থান নেয়ার পরপরই লোকবসতি আরম্ভ হয়। এখানের যেদিকে যাবেন সেদিকেই প্রকৃতির সৌন্দর্য খুঁজে পাবেন। এমন অরণ্য আর পাহাড় এদেশে আর কোথাও নেই। রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, আলীকদম, নাইখংছড়ি, লামা, তাজিংডং, কেওক্রাডং, চিতাইপাড়া নাইখিয়াং-এর যেদিকে যাবেন দেখবেন শুধু পাহাড় আর পাহাড়। রুমা হযে বগা লেক দেখে কেওক্রাডং পাহাড়ে যাওয়া আরো বেশি আনন্দের।
বান্দরবাান শহরের অপরপ্রান্তে এক কালো পাহাড়ে একটি ঝরনা ছিল। পাহাড়ি মাটি লবণাক্ত পানি পান করার জন্য অসংখ্য বানর দল বেঁধে হাতে হাতে ধরে শঙ্খনদী পার হত। সেই দৃশ্য দেখে মনে হত বাঁধের মতো। সে থেকে এই জায়গার নাম হয় ‘বান্দরবান’।
বান্দরবানের সবদিকে রয়েছে অফুরন্ত সৌন্দর্য। একবার তা দেখলে সারাজীবন মনে থাকে। পাহাড়ের গায়ে বান্দরবান শহর। উচ্চ পাহাড়শীর্ষে উঠে বান্দরবান শহরের একাংশের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। তেমনই মুগ্ধ করে দূরে দিগন্তজোড়া পাহাড়-অরণ্যের অনবদ্য সৌন্দর্য।
বান্দরবান শহর পাহাড়ের গায়ে অপরূপ সাজে সজ্জিত। শহরের গা ঘেঁষে রয়েছে সাঙ্গু নদী, যার আরেক নাম শঙ্খ। এখানে গেলেও পাহাড় আর পাহাড় দেখা যায়। একেক সময় মনে হবে, এ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলানিকেতন। যে একবার বান্দরবানকে দেখেছে সে কোনোদিনই বেড়ানোর স্মৃতি ভুলতে পারবে না।
পাহাড়িয়া বান্দরবান জেলার অভ্যন্তরে যেদিকে যাবেন সেদিকেই দেখবেন দুই পাহাড়ের মাঝ থেকে বয়ে গেছে নদী কিংবা হ্রদ। কখনও বা পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়। পাহাড়িয়া এলাকার সৌন্দর্য এরাই মোহনীয় করে তুলেছে।
বান্দরবানে অধিক সংখ্যক উপজাতি লোক বাস করে। উপজাতির সংখ্যা এখানে সবচেয়ে বেশি। মগ, টিপরা, চাকমা, বম, খুমী, লুসাই, মুরং, বনযোগী উপজাতীয়রা এখানে রয়েছে। এদের মধ্যে মগদের নাম সবার আগে উল্লেখ করতে হয়। শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে মগরা এই এলাকায় এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। নদী, ফাঁড়ি আর লেক তৈরি করে বান্দরবানকে কাঁথা-সেলাইয়ের মতো এফোঁড়-ওফোঁড় করা হয়েছে। ফাঁড়ি ঘিরেই আবর্তিত হয় এখানকার জনজীবন। ইপজাতিদের অনেক বাড়ি থেকে সিঁড়ি এসে মিশেছে ফাঁড়িতে। পাহাড়ের গায়ে আছে বাড়িঘর। পাহাড় কেটে কেটে সিঁড়িও তৈরি করা হয়েছে উপরে ওঠা ও নিচে নামার জন্য। এখানের গভীর অরণ্য, সুউচ্চ পাহাড়ের শৃঙ্গ সবকিছুই আপনাকে আকৃষ্ট করবে। ৪ থেকে ৫ দিন বেড়ানোর মনোরম জায়গা পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা বান্দরবান শহর।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানে যাওয়ার জন্য বাসে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের দূরত্ব ৯২ কি. মি.। রাত যাপন করার জন্য বান্দরবানে বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
বান্দরবানের অন্যতম আকর্ষণ ‘মেঘলা’। এটি শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়বেষ্টিত স্থান জুড়ে রয়েছে মেঘলা। এখানের কৃত্রিম লেকটি আপনার দ-নয়নে এক অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারে। লেক সংলগ্ন রয়েছে তিনতলা ভবন। খোলামেলা পুরোনো সিঁড়ি রয়েছে এখানে। এটি বেয়ে উপরে উঠুন। এবার যেদিকে তাকাবেন শুধু পাহাড় আর অরণ্য চোখে পড়বে।
বান্দরবান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে গেলে দেখবেন শৈলপ্রপাত। এখানে পাথরের মাঝ থেকে বয়ে গেছে জলের স্রোত। এই জলের স্রোতকে বলা হয় জলপ্রপাত। এর অপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্য ঘণ্টার-পর-ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে মন চাইবে। শাপলা-চত্বরে সন্ধ্যার পরে গেলে দেখবেন লাল-নীল-বেগুনি রঙিন আলোর ঝলকানি। এখানেই উপভোগ করবেন জলের ফোয়ারা। বোমাং রাজার বাড়িও এই বান্দরবানে। এটিও ঘুরে দেখুন। ১১ কি. মি. দূরে রয়েছে প্রান্তিক লেক।
বান্দরবান শহর থেকে ২৫ কি. মি. দক্ষিণে চিম্বুক পাহাড়। এখানে যাবেন সড়কপথে জিপে কিংবা বাসে। চিম্বুক পাহাড়ের উচ্চতা ২০০ ফুট। এখানে রাত কাটানোর জন্য একিট রেস্টহাউস রয়েছে। পাহাড়শীর্ষে দাঁড়িয়ে চোখে পড়বে দূরে বহুদূরে ধু-ধু বঙ্গোপসাগরের জলরাশি। চিম্বুকে সকালে গিয়ে বিকেলেই বান্দরবানে আবার না হয় ফিরে আসুন।
বান্দরবানের থানচি মনোলোভা এক সুন্দর জায়গা। এখানে উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ ধরে যাওয়া যায়। তবে যাওয়ার পথ এখন সহজ হয়ে গেছে। এখানকার সর্বত্রই পাহাড়। অরণ্য ও পাহাড়ি নদীও রয়েছে। মাইলের পর মাইল পাহাড় থানচিতে। সবুজে সবুজে আচ্ছন্ন সর্বত্র। বান্দরবান থেকে ওখানে যাবেন সড়কপথে বাসে। থানচিতে রাত যাপন করার জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের গেস্টহাউস রয়েছে।
বান্দরবানের লামার মোরনজা পাহাড়ে যেতে পারেন। এখানে গেলে পাহাড়, অরণ্য, ঝরনা দেখে এক রাত কাটিয়ে আসতে মন চাইবে।

মেঘের দেশ কেওক্রাডাং
পরিব্রাজকের মন নিয়ে অজানা-অচেনাকে জয় করার জন্য বছরের যে-কোনো সময় বেরিয়ে পড়তে পারেন দুর্গম পাহাড়িয়া অঞ্চলে। বার্মা সীমান্তে অবস্থিত কেওক্রাডাং। এখানে রয়েছে মেঘের আনাগোনা। মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই কেওক্রাডাং পাহাড় ও বগা লেক দেখায় একধরনের আনন্দ রয়েছে। এখানে যাওয়া কষ্টসাধ্য হলেও এই ভ্রমণকে রোমাঞ্চকর বলা যাবে।
পাহাড়িয়া নদী হয়ে কেওক্রাডাং-এ যাওয়ার জন্য স্পিডবোট ছাড়াও নৌকা রয়েছে। শঙ্খ নদী হয়ে কেওক্রাডাং যেতে হয়। নদীর দুই কূলে রয়েছে পাহাড় আর অরণ্য। নদী তীরে দেখবেন কত নাম-না-জানা পাখির ঝাঁক। এখানে বনে রয়েছে হাতি, বানরসহ, নানান ধরনের বণ্যপ্রাণী। সবুজ শ্যামল রূপে মুগ্ধ হয়ে পড়বেন এক এক সময়। একটু খেয়াল করে নদীর দিকে তাকান। মনে হবে নদীর জল খুবই স্বচ্ছ। তাছাড়া নদীতে জলও কম। পাহাড়ের গায়ে গায়ে রয়েছে উপজাতিদের বাড়িঘর। একচিলতে কাপড় পরে উপজাতীয় মহিলার নদীতে স্নান করছেÑএ দৃশ্য ও চোখে পড়বে।
শঙ্খ নদী চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। মায়ানমার থেকে রোয়াংছড়ি হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এই নদীটি। নদীর দুইতীরে আছে গহিন অরণ্য। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে হাতি, বাঘ, হরিণও দেখবার সুযোগ হয়ে যেতে পারে। রুমা থেকে কেওক্রাডাং পৌঁছতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
কেওক্রাডাং পাহাড়ে রয়েছে গহিন অরণ্য। অরণ্যঘেঁষা তীর ধরে কয়েকজন মিলে পথ চলায় দারুণ আনন্দ। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পর্বতশৃঙ্গ এই কেওক্রাডাং। এর উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৩৪ ফুট। প্রায় ৪০০ তলা উঁচু একটি বাড়ির সমান। এই পাহাড়ের ওপরটা কোনো শৃঙ্গের মতো নয়। প্রায় সমতল। এখানে লোকবসতি খুব কম দেখবেন। যারা বাস করেন তারা বোমাং উপজাতি।


নদীর তীর থেকে ৪ মাইল দূরে বগা হ্রদ। সমতল ভূমি থেকে এ হ্রদের অবস্থান সাড়ে তিন হাজার ফুট উঁচুতে। বগা হ্রদ প্রস্থে আধামাইলের বেশি আর দৈর্ঘ্যে এক মাইলের মতো হবে। এ হ্রদের চারদিক জুড়ে রয়েছে গহিন অরণ্য। হ্রদের জলের রং নীল, কখনওবা মনে হবে হলুদ, লাল, সবুজ কিংবা কালো। প্রায় আড়াইশো বছর আগে এখানে অর্থাৎ যেখানে বগা লেক ঠিক সেখানটিতে একশো পরিবারের একটি বড় পাড়া ছিল। হঠাৎ একদিন এই পাহাড়টি তলিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় বগা হ্রদ।
কিংবদন্তি আছে, এখানে গরু, ছাগল, শূকর, এমনকি শিশু-কিশোররা প্রায় প্রতিদিন হারিয়ে যেত কিংবা তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যেত না। এ অবস্থা পাড়াবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছিল। লোকজন ছুটে গেল হেডম্যানের কাছে তিনিও সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। একদিন পাহারাদারদের চোখে পড়ল একটি গর্ত। সেই গর্তেই গবাদিপশু চিৎকার করছে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা সেখানে ছুটে গেল। সে গর্তে একটি গবাদিপশু ফেলে দিয়ে গ্রামবাসীরা দেখতে পেল একটি ড্রাগন বসে রয়েছে গর্তে। ড্রাগনকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় ‘বগা’। গবাদিপশুটি পেয়েই ড্রাগন তা গিলে ফেলল। ড্রাগন অর্থাৎ বগার অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবার জন্য গ্রামবাসীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাল। বঁড়শিতে একদিন বিশাল আকারের সেই বগাটি ধরা পড়ল। গ্রামবাসীরা এর মাংস খাওয়ার পরে পুরো গ্রাম তলিয়ে গেল। আর এভাবেই সৃষ্টি হয়েছিল বগা লেক।’


এই হ্রদের গভীরতা প্রায় ৯০ ফুট। স্থানীয় উপজাতিরা এই হ্রদকে পূজা দেয়। এজন্য বগা হ্রদে তারা ফুল, হাঁস-মুরগি কেটে দিয়ে থাকে। একটু খেয়াল করে জলের নিচে তাকান। দেখবেন অসংখ্য সিকি, আধুলি পড়ে রয়েছে। বগা হ্রদের তীরে ঘণ্টার-পর-ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে হবে। আরো কিংবদন্তি আছে, যেমনÑএকটা ভগবান বুদ্ধ নাকি এক উপজাতি বৃদ্ধ দস্পতিকে স্বপ্নে জানান যে, এ পাড়া ধ্বংস হয়ে যাবে। তারপর এক গভীর রাতে যখন সমস্ত পাড়া নিদ্রামগ্ন তখন হঠাৎ বগা হ্রদের পানি ফুলে ওঠে সমস্ত পাড়া তলিয়ে গিয়েছিল।
কেওক্রাডাং পাহাড়ে উপজাতিদের বাড়িঘর রয়েছে। এখানকার একটি পাড়ায় থাকে বোমাং উপজাতিরা। ধর্মে এরা খ্রিস্টান। খ্রিস্টধর্মের ইউরোপীয় পাদরিরাও এখানে আছে। পাশেই দার্জিলিং পাড়া এখানেও যেতে পারেন। যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার হৃদয় মন রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে। চাঁদনী রাতে বগা হ্রদের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে যাবেন স্বপ্নের রাজ্যে। নীল পাহাড়, সবুজ উপত্যকা, সাপের মতো এঁকেবেঁকে যাওয়া নদী দেখে দেখে দু-চোখ ভরে উঠবে। ঘুম থেকে উঠে যেদিকে তাকাবেন দেখবেন বিরল প্রাকৃতিক পশু-পাখি।
কেওক্রাডাং পাহাড়ের দুর্গম পথ ধরে জলপ্রপাতের কাছে যেতে পারেন। ৩৫০ ফুট উঁচু থেকে জলধারা নদীতে পড়ার দৃশ্য দেখে শুধু তাকিয়েই থাকবেন। কেওক্রাডাং পাহাড়ে গিয়ে যেদিকে তাকাবেন সবই ভালো লাগবে। এখানে গেলে কিছুতেই ফিরে আসতে মন চাইবে না। ওখানকার গহিন অরণ্য থেকে ফিরে এসে মনে হবে, ‘কেওক্রাডাং পাহাড়ে বেড়ানো যেন বিস্ময়কর অভিযানেরই তুল্য।’
বান্দরবান জেলাশহর থেকে ৪০ মাইল দূরে কেওক্রাডং পাহাড়। বান্দরবান হয়ে আসুন রুমায়। রুমা উপজেলা থেকে ২০ মাইল দূরে কেওক্রাডং পাহাড়। শঙ্খনদী হয়ে এখানে যাবেন। রুমা থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছতে পারবেন কেওক্রাডং পাহাড়ে। এখানে সর্বত্রই গহিন অরণ্য। কেওক্রাডং পাহাড়ের পাদদেশে উপজাতিদের বাড়িঘর। এখানে খ্রিস্টান মিশনারিতে অনুমতি নিয়ে থাকা যায়। খ্রিস্টান মিশনারি বগা লেকের কাছেই।
বিভিন্ন তথ্য : বান্দরবান জেলার আয়তন প্রায় ৪,৪৭৯ বর্গকিলোমিটার। এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাতামুহুরী, শঙ্খ, বানখিয়াং নদী। বান্দরবান জেলা মোট ৭টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হল বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, নাইখংছড়ি, আলীকদম, রুমা, থানচি আর লামা।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে এস. আলম, ডলফিন, সৌদিয়া পরিবহন সরাসরি বান্দরবান যায়। ছাড়ে কমলাপুর থেকে। সময় লাগে ৭ ঘণ্টা। ইচ্ছে করলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী হানিফ পরিবহনে চট্টগ্রামে গিয়ে এরপরে বান্দরবানগামী পরিবহনে যেতে পারেন। বান্দরবানের পরিবহন ছাড়ে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে। পূরবী অথবা পূর্বাণীয় যে-কোনো একটিতে করে বান্দরবানে যাবেন।
যেখানে থাকবেন : বান্দরবান শহরে থাকার জন্য রয়েছে হিলবার্ড হোটেল, গ্রিনহিল, পূরবী হোটেল, হাবিব বোর্ডিং, বিলকিস হোটেল। ৪ কিলোমিটার দূরে মিলনছড়িতে কটেজ আছে, সেখানে গিয়েও থাকতে পারেন।
অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার বর্ণনা : রোয়াংছড়িতে যাবেন চান্দের গাড়িতে। ২০ জন যাত্রী হলেই গাড়ি ছাড়ে। এখানে রাত যাপন করার জন্য রেস্টহাউস রয়েছে।
রুমায় জিপগাড়িতে যাওয়া যায়। বান্দরবান থেকে রুমার দূরত্ব ৬০ কি. মি.। সাঙ্গুনদী হয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায়ও রুমা যেতে পারেন। জিপগাড়িতে যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। জিপগাড়ি যাবে সাঙ্গুনদী পর্যন্ত। এরপরে নৌকায় ওপারে রুমায় যাবেন। রুমায় দেখবেন রিজুক জলপ্রপাত। রুমায় রাত যাপন করার জন্য রাজিব হোটেল, মান্নান হোটেল, কেওক্রাডং হোটেল রয়েছে।
থানচিতে যায় জিপগাড়ি। ২০ জন যাত্রী হলে গাড়ি ছাড়ে। সময় লাগে ৫ ঘণ্টা। বান্দরবান থেকে থানচিতে নদীপথে ইঞ্জিনচালিত বোটেও যাওয়া যায়। বান্দরবানের যেখানে যাবেন সেখানেই অরণ্য, পাহাড় আর আকাশ মিলে একাকার হয়ে আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here