ঘুরে আসুন মেঘ পাহাড়ের দেশ সিলেট

0
98

লিয়াকত হোসেন খান: হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর পুণ্যভূমি সিলেট। প্রাচীন গৌড়ের রাজা গুহক তার প্রিয়কন্যা শীলার স্মৃতিরক্ষার্থের একটি হাট স্থাপন করে নাম রাখেন শীলাহাট। এই শীলাহাট থেকে সিলেট নামের উৎপত্তি। এই জেলার উত্তরে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য। পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য এবং পশ্চিমে সুনামগঞ্জে ও হবিগঞ্জ জেলা।
সিলেট জেলার আয়তন প্রায় ৩,৪৯০ বর্গকিলোমিটার। কুশিয়ারা, সারিগাঁও আর সুরমা নদী বয়ে গেছে এই জেলার ওপর দিয়ে। উপজেলা ১১টি। এগুলো হলো- সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর আর গোপালগঞ্জ। সিলেটে দেখার মতো উল্লেখযোগ্য, ভ্রমণ-স্পট হলো- জাফলং, জৈন্তাপুর, লক্ষ্মীপ্রসাদ, রুস্তমপুর, ইসলামপুর, নীলপট, মানিকপুর, বড়ঠাকুরী গোয়াইনঘাট আর সিলেট শহর।
যেভাবে যাবেন : ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ে সিলেটগামী পারাবাত, জয়ন্তিকা। এর যে কোনো একটি আন্তঃনগর ট্রেনে সিলেট যেতে পারেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বাস শ্যামলী, গ্রীনলাইন, হানিফ-এ সিলেট যাওয়া যায়। এছাড়া সৌদিয়া, এস আলম, সাগরিকা, রিয়ান, সিটি লিংক পরিবহনগুলোও যায়।
যেখানে থাকবেন : সিলেটে পর্যটনের মোটেল রয়েছে। এটি বিমানবন্দর সড়কের নিকটবর্তী নির্জন এলাকায় অবস্থিত। সিলেট শহরে বেড়াতে গিয়ে আরামে থাকা যাবে এমনি কয়েকটি হোটেল হলো- পলাশ, গুলশান, হিলটাউন, অনুরাগ।
যা যা দেখবেন : সিলেট শহরে দেখবেন হযরত শাহজালালের মাজার, ওসমানী জাদুঘর, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, মুরারীচাঁদ কলেজ, কিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, মুরারীচাঁদ কলেজ, কিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনীঘাটের সিঁড়ি, হযরত শাহ পরানের (রহ.) মজার, ঈদগাহ, গৌর গোবিন্দের টিলা। ঈদগাহ নির্মিত হয় মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে।
সিলেট শহরের বাইরে দর্শনীয় জায়গা হলো- শ্রীপুর, জাফলং, তামাবিল, ও জৈন্তাপুর। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ গ্রামে দেখবেন শ্রীচৈতন্য দেবের মন্দির। সিলেট থেকে জাফলং-এর দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার। পরিবহনে যেতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। পরিবহন চলে জৈন্তাপুর ও শ্রীপুর হয়ে।

জাফলং
জাফলং-এ দেখবেন পাথর আর পাথর। বিচিত্র পাথরের আকৃতি, বিচিত্র তার রং। অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে খাসিয়া পাহাড়ের কোলে দাঁড়িয়ে রয়েছে জাফলং। এখানে পিকনিক স্পটও রয়েছে। জাফলং-এ নদীর এক অংমের নাম পিয়াইন, অপর অংশের নাম সারি নদী। এই দুই নদীর জন্ম হয়েছে খাসিয় জৈন্তা পাহাড় থেকে। নদী দুটি অবশেষে মিলেছে সুরমায় গিয়ে।
জাফলং-এর নদীতীরে দাঁড়িয়ে দেখা যায় ভারতীয় এলাকার মেঘালয় রাজ্য। এখানে নদীর অর্ধেক বাংলাদেশে আর অর্ধেক ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পড়েছে। নদীটি মেঘালয়ের দুই পাহাড়ের মধ্যদিয়ে গড়িয়ে আসায় যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ব্রিজের নাম ‘ডাউকি ব্রিজ’। জাফলং-এর পাহাড়ের উপরে বসে ছবির পর ছবি তোলা যায়। এখানে পেছনে অপরূপ দৃশ্যাবলী নিয়ে কাচের মতো স্বচ্ছ জলে দেখতে পারবেন নদীর তলদেশ।
জাফলং-এ আরেকটি উপভোগ্য দিক হল এর গহিন অরণ্যাঞ্চল। জাফলং-এর পাশে দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করে খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের এলাকা ঘুরে দেখুন। পাহাড়ের গায়ে খাসিয়াদের ছোট ছোট খুঁপড়িঘর দেখতে বেশ সুন্দর।
জাফলং দেখে দিনে দিনে সিলেটে ফিরে আসুন। সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগা শরিফ গিয়ে মাজার জিয়ারত করে নিন। মুরারীচাঁদ কলেজ ছাড়িয়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলে রাস্তার ডানদিকে গিয়ে দেখুন শাহ পরানের (রহ.) মাজার। এখানে গিয়েও মাজার। এখানে গিয়েও মাজার জিয়ারত করুন।
আলী আমজাদের ঘড়ি দেখার সময় জানবেন, বড়লাটের চমকে দেয়ার জন্য ১৮৭৪ সালে লংলার পৃথ্বিমপাশা এস্টেটের জমিদার আলী আমজাদ এই বিচিত্র ও বিশাল ঘড়ি স্থাপন করেছিলেন।
শহরের অভ্যন্তরে ঈদগাহ এটি খুবই আকর্ষণীয়। মোঘল আমলের নির্মিত এই ঈদগাহে ছোট বড় ১১টি গম্বুজ ও ২৯টি বৃহৎ সিঁড়ি দেখবেন। এই শাহী ঈদগাহ ময়মানে একদা উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মওলানা মোহাম্মদ আলী, মওলানা শওকত আলী, মহাত্মা গান্ধী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেকে বক্তৃতা দিয়ে গেছেন।
সিলেট শহরের একটু পাশে গেলেই দেখবেন লাকাতুয়া চা-বাগান। এখানে সকালে কিংবা বিকালে বেড়াতে পারেন। লাকাতুয়া চা-বাগানের সবুজ শ্যামল রূপ দেখে মুগ্ধ হবেন

নয়নলোভা জৈন্তাপুর
জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে উপজেলা শহর। এখানে এক রাত কাটালে ঘুম থেকে উঠেই দেখবেন পাহাড় আর বনাঞ্চল। এখানকার সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়। পাহাড়ঘেরা সবুজাকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে শোভিত এই অঞ্চল উঁচুনিচু। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে গহিন অরণ্যবাসী খাসিয়ারা চলাচল করে।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে কিংবা বাসে সিলেট যাবেন। এরপরে সিলেট থেকে কোস্টার কিংবা মিনিবাসে জৈন্তাপুরে যাওয়া যায়।
যেখানে থাকবেন : জৈন্তাপুরে রাতযাপন কোনো অসুবিধা নেই। উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলো ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের গেস্ট হাউস রয়েছে- অনুমতি নিয়ে এক জায়গায় থাকা যায়।
যা জানবেন যা দেখবেন : সিলেট শহর থেকে যে রাস্তাটি শিলং চলে গেছে, সেই রাস্তার ২৬ মাইল দূরেই জৈন্তিয়াপুর উপজেলা শহর।
খাসিয়ারা সিংটাং ধর্মাবলম্বী। ওদের মন্দিরটি খুবই আকর্ষণীয়। এখানে ফলফলাদির বাগান এবং প্রচুর পানগাছও চোখে পড়বে। পশুসম্পদ অফিসের একটু উত্তরে গেলে পাহাড় আর বনাঞ্চল দেখতে পাবেন। এখানে পাহাড়ের গায়ে গায়ে রয়েছে ঝরনা। এর দুপাশে রয়েছে নানা রঙের পাথর। ৩ মাইল দূরে সারিঘাট; এখানকার বালু প্রসিদ্ধ। এখানকার বালু দেশের বিভিন্ন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে পাঠানো হয়।
জৈন্তাপুরে যেমন আছে পাহাড়, তেমনি নদীও আছে। এগুলো জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তবে খাল-বিলের সংখ্যা বেশি। ২০ একরের ঊর্ধ্বে রয়েছে ২০টি জলমহাল, আর এর নিচে রয়েছে ২১টি। এই জলাভূমিতে রয়েছে প্রচুর মৎস্যসম্পদ।
জৈন্তাপুরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেশে আপনি এতই মুগ্ধ হবেন যে, সেখানে বারবার ছবি তুলতে ইচ্ছে হবে। এজন্য সঙ্গে অবশ্যই ক্যামেরা ও ফিল্ম নিয়ে যাবেন। তিন থকে চারদিন এখানে থাকবেন। সময়ের বিবর্তনে প্রাচীন রাজধানী জৈন্তিয়াপুর আজ শ্মশানভূমি মনে হলেও সেখানকার ভাঙা রাজবাড়ি, পাহাড়, বনাঞ্চল আর খাসিয়ারা ক্ষণিকের জন্য হলেও মনে দোলা লাগাতে পারে।
জৈন্তাপুরে রয়েছে ঐতিহাসিক রাজবাড়ী। একদা জৈন্তা ছিল রাজধানী। এখানে দেখবেন রাজপ্রাসাদের ভগ্নস্তূপ, খিলানবেদি আর কুয়ার ধ্বংসাবশেষ। ভাঙা রাজবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে ইচ্ছে হবে। কিছু ইতিহাসও খুঁজে পাবেন এখানে।
প্রাচীনকালে সিলেট তিনটি স্বতন্ত রাজ্যে বিভক্ত ছিল। জৈন্তা তার অন্যতম। এই রাজ্য প্রথমে জৈন্তা, পুরীরাজ, জাফলং, চারিকাঠা, ফালজুর, চতুল, ধরগাম, পাঁচভাগ, আড়াইখাঁ, খরিল এবং চোরামোট এই ১১টি পরগনায় বিভক্ত ছিল। এখানে উল্লেখযোগ্য রাজারা হলেন পর্বত রায়, বিজয় মানিক, প্রতাপনারায়ণ, ধনমানিক, যশোমানিক, লক্ষ্মী সিংহ, জয়নারায়ণ, ছত্র সিংহ, রামসিংহ, রাজেন্দ্র সিংহ প্রমুখ।
১৬০৬ সালে রাজা যশোমানিক রাজসিংহাসনে বসার পর তিন বিয়ের যৌতুক হিসেবে একটি কালিমূর্তি উপহার পান এবং এটিকে জয়ন্তেশ্বরীরূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। পরবর্তীকালে এই দেবীমূর্তির কাছে নরবলি দেয়ার অপবাদে জৈন্তার স্বাধীনতা হরণ করা হয়।
জৈন্তার রাজ্যের শেষ স্বাধীন রাজা হলেন রাজেন্দ্র সিংহ। তার আমলে অর্থাৎ ১৮৩৫ সালে ইংরেজরা এ রাজ্যে অধিকার করে ব্রিটিশ অধিকারে আনেন। এখানে দেখবেন একটি বটগাছের সামনে বধ্যভূমি। আজকের স্বাস্থ্যভবনটি একসময় রাজার বাড়ি ছিল। এটি ঘুরেফিরে দেখে খাসিয়াপল্লীতে চলে যান। জৈন্তাপুরের পাহাড়ের গায়ে গায়ে রয়েছে ঝরনা। এখানকার রাজবাড়ী, পাহাড়, বনাঞ্চল আর খাসিয়াদের পাড়া ক্ষণিকের জন্য হলেও আপনার মনে দোলা লাগাবে।

চৈতন্যদের ঢাকা দক্ষিণ
সিলেট শহর থেকে পূর্বদিকে দশ মাইল দূরে সিলেট- জকীগঞ্জ সড়কসংলগ্ন গোলাপগঞ্জ উপজেলা। এরই ৫ মাইল দক্ষিণে ঢাকা দক্ষিণ গ্রামে চৈতন্যদের মন্দির। এখানে গেলে একটি কথাই মনে হবে : প্রেম এবং অনুরাগই ধর্মের মূল কথা এবং এছাড়া মুক্তি লাভ সম্ভব নয়।
যেভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রথমে যাবেন সিলেট। সিলেট এসে কদমতলীতে যাবেন। এখান থেকেই গোপালগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ আর ভাদেশ্বরের কোস্টার ও মাইক্রোবাস ছাড়ে। ঢাকা দক্ষিণ আসতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। যাওয়ার পথে রাস্তার দুধারে দেখবেন সবুজ বনবনানী। ফসলের ক্ষেত। দূরে চোখে পড়বে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়। সুরমা নদীও দেখা হবে।
শ্রীচৈতন্যদেবের মন্দির : তেরো ধাপ সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠলে মন্দিরপ্রাঙ্গণ। প্রথমেই সিংহদ্বার। বামদিকে পাশাপাশি পাঁচটি ছোট মন্দির। এগুলোর নাম হলো- নাটক মন্দির, দোল মন্দির, রামমন্দির, শ্রীমন্দির আর ভোগ ভোগ মন্দির। এখানে দোল মন্দিরটিই মূল মন্দির। জানবেন, পঞ্চদশ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্য ছিলেন বাংলার একজন সর্বশ্রেষ্ঠ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্য ছিলেন বাংলার একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কার। তিনি ২৫ বছর বয়সকালে গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হন। জাতিভেদে প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেন। শ্রীকৃষ্ণের মানববিগ্রহ হিসেবে লাখ লাখ লাকের দ্বারা তিনি পূজিত হন। বাংলার ঘরে ঘরে তাঁর নাম প্রচার হয়। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সব শ্রেণীর লোককে তিনি ভাইয়ের মতো আলিঙ্গন করে গেছেন। তাঁর কিছু কিছু শ্লোভ মন্দিরের গায়ে লেখা রয়েছে। এমন একটি হলো : ‘মানুষ মানুষের ভাই’। ৮৯১ বঙ্গাব্দের ২৩ ফাল্গুন পূর্ণিমা তিথিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে নাম রাখা হলো বিশ্বম্ভর। ওর মা ডাকতেন ‘নিমাই’ বলে। এক সময়ে গৃহত্যাগ করে তিনি সন্ন্যাসী হন।
শ্রীচৈতন্যদেবের মন্দির দেখা শেষ করে এবাে রআসুন ভাদেশ্বরে। এখানে রয়েছে হজরত শাহ বাহাউদ্দিনের (রহ.)-এর দরগাহ। তাঁর মূল নিবাস ছিল বাগদাদে। ৭০৭৭০৮ হিজরিতে তিনি ভাদেশ্বর আসেন। বাহাউদ্দিনের মাজার দেখার পরে পশ্চিমপাড়ে মসজিদটি দেখে নিন। এরই পাশে বিরাট পুকুর। এখানে রয়েছে প্রচুর গজার মাছে। এ মাছ মারা গেলে দাফন করা হয়।
ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগেরর পাশেই কুড়া নদী। নদীতে বেড়ানোর জন্য নৌকা পাবেন। নৌকায় বসে টিলার মনোরম দৃশ্য দেখে অভিভূত হবেন।
ভাদেশ্বরের আশপাশে দেখবেন- কৈশালটিলা, ঠাকুরবাড়ি, গ্যাসফিল্ড আর পাহাড় টিলা। ঢাকা দক্ষিণ থেকে কৈলাশটিলার দূরত্ব আড়াই মাইল। এটি একটি ছোট টিলা। ভূতাত্ত্বিক জরিপের সময় প্রথমে এখানেই কূপ খনন করা হয়েছিল।
যেখানে রাত কাটাবেন : ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় এলাকায় রাত যাপন করার জন্য কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তাই সিলেট শহরের যে কোনো এক আবাসিক হোটেলে রাত কাটাবেন। সকালে ঢাকাদক্ষিণ গিয়ে সারাদিন অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় সিলেটে ফিরে আসুন। সিলেটে রাত কাটানোর জন্য রয়েছে অসংখ্য হোটেল। তবে গুলশান, শাহবান, অনুরাগ, হিলটাউল কিংবা পলাশ হোটেলকে বেছে নিতে পারেন।
অন্যান্য তথ্য : হযরত শাহ জালার (রহ.) এর সঙ্গে আরো তিনশো ষাট জন আউলিয়া সিলেটের নানা স্থানে আসেন। এই জেলার আরো আকর্ষণীয় জায়গা হলো- পশ্চিম দীঘির পাড়, কাশকনকপুর, সুলতানপুর, বিরোশী, দক্ষিণ বনিগ্রাম, জালালবাদ, রণি খাল, তোয়াকুল, খাদিমনগর, ভাদেশ্বর, ঢাকা দক্ষিণ, লালবাজার, মাইজগাঁও, পিল্লাচুরা, সাদীপুর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here