কাস্টার্ড হলো ক্রিম জাতীয় একটি সস যা প্রধানত দুধ, ডিম ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। কাস্টার্ডে ডিম থাকার কারণে অনেকে এসবের মিশ্রণে তৈরি খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তবে কাস্টার্ড ডিম ছাড়াও তৈরি করা সম্ভব। যা এখন খুব সহজেই আপনাকে ফ্রুট কাস্টার্ডের স্বাদে ডুব দিতে বাধ্য করবে।
ডিম ছাড়া কাস্টার্ড তৈরি করতে হলে তাতে ডিমের পরিবর্তে দিতে হবে কর্ণ স্টার্চ। দুধে প্রয়োজন মতো চিনি এবং কর্ণ স্টার্চ মিশিয়ে কাস্টার্ডের ঘনত্ব কমানো অথবা বাড়ানো যায়। খুব অল্প আঁচে তরল দুধ নেড়ে নেড়ে গরম করতে হয়। কিছুক্ষণ পরে তাতে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিতে হবে। তারপরে কর্ণ স্টার্চ দিয়ে ভালো করে নেড়ে সসটি তৈরি করতে হবে। খুব সাবধানে করতে হবে, নিচে যাতে লেগে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কাস্টার্ড তৈরি হয়ে গেলে চলুন এখন তৈরি করা যাক সুস্বাদু ফ্রুট কাস্টার্ড।

ফ্রুট কাস্টার্ডে যে পছন্দের যেকোনো ফল দেওয়া যেতে পারে। তবে যে ফলগুলো অতিরিক্ত টক, সে ধরনের ফল এতে না দেওয়াই ভালো। সাধারণত ফ্রুট কাস্টার্ডে কলা, পেঁপে, আম, কমলা, আঙ্গুর, ডালিম ও স্ট্রবেরি দিয়ে থাকে।
ফ্রুট কাস্টার্ড তৈরি:
– একটি বড় পাত্রে অল্প আঁচে পূর্বে তৈরি করা কাস্টার্ডটি নিতে হবে এবং তাতে ১/২ চা চামচ ভ্যানিলা ইসেন্স দিতে হবে। ভালো করে নেড়ে মেশাতে হবে।
– চুলোর আঁচ খুব অল্প রাখতে হবে।
– ঘন হয়ে আসলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
– বাইরে একটু ঠাণ্ডা করে নিয়ে তারপর ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
– এ পর্যায়ে নিজের পছন্দমতো ফল ছোট ছোট করে কিউব আকারে কেটে নিতে হবে। অবশ্য ফল কাটার ক্ষেত্রে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। নিজের পছন্দমতো আকারে কাটলেই হবে।
– এখন একটি ছোট বাটিতে বা গ্লাসে প্রথমে এক চা চামচ কাস্টার্ড দিতে হবে। তারপর ওপরে কেটে রাখা ফল ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে নিজের মতো করে কয়েকটি স্তর করতে হবে। ওপরের ধাপে নিজের পছন্দ মতো আইসক্রিম অথবা দই দিয়েও ডেকোরেশন করা যাবে।
– দুই ঘণ্টার মতো ফ্রিজে জমতে দিতে হবে। তারপর মজাদার ফ্রুট কাস্টার্ড প্রস্তুত পরিবেশনের জন্য।
এভাবে কাস্টার্ড তৈরি করে ফ্রিজে ৭ দিনের মতো সংরক্ষণ করা যাবে।